কক্সবাজারের মহেশখালীতে সরকারী প্যারাবণ কেটে চিংড়ী ঘের করার চেষ্টা ও বনকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় মহেশখালী থানায় গত ১৫ জুন রাত্রে ঘটিভাংগা বিট কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন বাদি হয়ে মহেশখালী থানায় যুবলীগ-ছাত্রদল নেতাসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ। মামলার আসামীরা হলেন,বড় মহেশখালীর হাজী মোস্তাক আহমদের পুত্র ও জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুল করিম,তার ভাই মহেশখালী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজিজুল করিম জয়,শহিদুল্লাহ-১,রাহমত উল্লাহ,মোহাম্মদ উল্লাহ,এরশাদ উল্লাহ মুন্না,আনছার উল্লহ, সেলিম উল্লাহ,নবীর হোসেন,শহিদুল্লাহ-২,নুরুল হাসেন,আনছার উল্লাহ-২,নেছার আহমদ, জাফর আলম,নুরুল কবিরসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১ শত ৮০ জন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন সকালে উপকুলীয় বনবিভাগের ঘটিভাংগা বিটের আওতাধীন (বিএস ৩৩৮১ দাগ সংলগ্ন ভরাট চরভুমি) বড় মহেশখালীর হাজী মোস্তাক আহমদের পুত্র ও জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুল করিমের নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্যু চিংড়ী ঘের করার জন্য মাটি কেটে রিং বাধঁ দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ৫ একর বনভুমির ৫ হাজার ৫ হাজার গাছ কর্তন, মাটি খেটে খাই খন্দক করে মৃত্তিকার ভৌগলিক অবয়ব বনষ্ট ও পরিবেশ এবং প্রতিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি মৎস্য ও জলপ্রাণীর আবাসস্থল ও বংশ বিস্তারের ক্ষতিসাধনসহ ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এসময় ভূমিদস্যুরা বনকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে বিট কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন ও বনকর্মী হামিদুর রহমানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে জখম করে। পরে বনকর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ১৬ রাউন্ড ফাকাাঁ গুলি বর্ষন করে।
গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বনকর্মীদের উপর হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়য়ে মহেশখালী থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করেন। করেছে।
পাঠকের মতামত: